Chittagong Govt. Women’s College
  • হোমপেজ
  • আমাদের সম্পর্কিত
    • কলেজের ইতিহাস
  • একাডেমিক
    • সিলেবাস
    • একাডেমিক ক্যালেন্ডার
  • প্রশাসনিক
    • ডিপার্টমেন্ট
      • বাংলা
      • ইংরেজি
    • স্টাফ
  • নোটিশবোর্ড
  • কলেজ টাইমলাইন
  • যোগাযোগ
Search
  • হোমপেজ
  • আমাদের সম্পর্কিত
    • কলেজের ইতিহাস
  • একাডেমিক
    • সিলেবাস
    • একাডেমিক ক্যালেন্ডার
  • প্রশাসনিক
    • ডিপার্টমেন্ট
      • বাংলা
      • ইংরেজি
    • স্টাফ
  • নোটিশবোর্ড
  • কলেজ টাইমলাইন
  • যোগাযোগ
কলেজের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :
চট্টগ্রাম শহরে নারী শিক্ষা প্রসারে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট বিদ্যুৎসাহী জনাব বাদশা মিঞা চৌধুরীর প্রচেষ্টায় ১৯৫৭ সালের ১ জুলাই মহিলা কলেজটি আন্দরকিল্লা শাহী মসজিদ সংলগ্ন ভিক্টোরিয়া হোস্টেলে মাত্র ১৫০ জন ছাত্রী ও ৮ জন অধ্যাপক দিয়ে শুরু হয়। চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠার পর তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গর্ভণর জাকির হোসেন এর কাছ থেকে খুলশী এলাকায় বিনামূল্যে ২০ একর জমি কলেজের নামে লিখিয়ে নেন। বেসরকারি অবস্থায় এ কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন শ্রী যোগেশ চন্দ্র সিয়হ। ১৯৬১-১৯৬২ সালে কলেজটি বর্তমানে নৈসর্গিক সৌন্দর্যম-িত এলাকা খুলশীতে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৬৮ সালের কলেজ জাতীয়করণের সময় অধ্যক্ষ ছিলেন মিস ফেরদৌস আরা সাবেত। ১৯৬৪ সালে বর্তমান প্রশাসনিক ও একাডেমিক দো-তলা ভবনটি নির্মিত হয়। ১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালে দু’দফা সরকারি অনুদানে মাদার তেরেসা ছাত্রীনিবাসটি এবং সীমানা প্রাচীর নির্মিত হয়। পরে ২০০৮ সালে নির্মিত হয় অধ্যক্ষ (ক্যাপ্টেন) রওশন আখতার হানিফ ছাত্রীনিবাস। বর্তমানে কলেজে আরোও একটি পাঁচতলা ছাত্রীনিবাস এবং একটি দশতলা প্রশাসনিক ভবন হওয়ার সরকারি পরিকল্পনা আছে।
বর্তমান কলেজের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে যেমন অত্র কলেজে ৯টি বিষয়ে অনার্স থাকলেও মাত্র ৪টি বিষয়ে মাস্টার্স আছে তাই অন্য ৫টি বিষয়ের ছাত্রীদের মাস্টার্স করার জন্য বাহিরে অন্য কলেজে গিয়ে পড়তে হয়। এছাড়া এ কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের সকল বিষয় এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখার হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শুধুমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে আছে কিন্তু উক্ত বিষয়সমূহের কোন অনার্স কোর্স নেই। এক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার বিষয়গুলোতে অনার্স পড়ানোর ব্যবস্থা থাকলে এ কলেজ আরোও উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতো। তাছাড়া বর্তমান বিশে^র প্রয়োজনে এখানে পরিসংখ্যান বিষয়টিও চালু করা প্রয়োজন। এ কলেজটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর। এখানে প্রত্যেক স্তরের ছাত্রীদের জন্য তাদের ইউনিফর্মে আলাদা ব্যাজ লাগানো থাকে যা তাদের শ্রেণি পরিচয় বহন করে এবং প্রত্যেক ছাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে এপ্রোন পরিধান করতে হয়। তাছাড়া এ কলেজে নিয়মিত বেশীর ভাগ ক্লাস মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। এ কলেজে অনেক ফলের ও ফুলের গাছ আছে যা কলেজের আবাসিক ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ সকল ঋতুতে ভোগ করতে পারে। তাছাড়া এ কলেজে ২০ একর জমিতে সরকারিভাবে অনেক ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। 
হোস্টেলে অধ্যক্ষ ছাড়াও কয়েকজন অধ্যাপিকা থাকতেন। পরবর্তীতে ১৯৬৪ সাল থেকে বর্তমান প্রশাসনিক দোতলা ভবনটি নির্মিত হলে ক্লাশ সেখানে চলে আসে এবং হোস্টেল বিল্ডিংটি সম্পূর্ণভাবে মেয়েদের হোস্টেল হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী মরহুম জনাব বাদশা মিঞা চৌধুরীকে কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজের সার্বিক নিমার্ণ কাজ তদারকীতে নিয়োজিত থাকতে দেখা যেত এবং তাঁকে গর্ভনর জাকির হোসেন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সহযোগিতা করতেন।
কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ শ্রী যোগেশ চন্দ্র সিংহের পরে দ্বিতীয় অধ্যক্ষ হিসেবে মিস ফেরদৌস আরা সাবেত। ১৯৬০ সাল হতে ১৯৬৮ সালে কলেজ জাতীয়করণ করার সময় পর্যন্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দাুিয়ত্ব পালন করেন। কলেজ জাতীয়করণের পরেও তিনি তিনবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
কলেজ জাতীয়করণের পরবর্তী উন্নয়নের সংক্ষিপ্ত বিবরণ : ১৯৬৮ সনের মে মাসে তদানীন্তন সরকার এ কলেজকে জাতীয়করণ করে এর মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। বিভিন্ন সময়ে অনেক কৃতি ও গুণী ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় পর্যায়ক্রমে সামগ্রিক অগ্রগতি সাধনের ফলে বর্তমানে চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ বিশ^বিদ্যালয় কলেজে পরিণত হতে যাচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয়করণের পর কলেজের সামগ্রিক উন্নয়নের সংক্ষিপ্ত ধারাবাহিক বিবরণ নি¤েœ প্রদত্ত হল :
১৯৭৫-১৯৭৬ সালের দিকে বেসরকারি আমলে নির্মিত মূল ভবনের উত্তর-পশ্চিম পাশের্^ একটি দোতলা ক্লাশ বিল্ডিং নির্মিত হয়। এই সময়ে অধ্যক্ষ ছিলেন মিসেস নূর জাহান বেগম।
১৯৮৫ সালের প্রথম দিকে তদানীন্তন ফাস্টলেডী বেগম রওশন এরশাদ এই কলেজ পরিদর্শনে এসে কলেজের উন্নয়নের জন্য ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা অনুদান ঘোষণা করেন এবং ১৯৮৬ সালের ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের তত্ত্বাবধানে উক্ত টাকায় ছাত্রীনিবাসের তৃতীয় তলায় টয়লেট ¯œানাগারসহ তিনটি কক্ষ নির্মিত হয়। ১৯৮৬ সালের প্রথম দিকে তৎকালীন শিক্ষা উপমন্ত্রী জনাব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু কলেজ পরিদর্শনে এসে কলেজ অডিটোরিয়ামের জন্য ২৩টি বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা করেন যাহা ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। এই সময়ে কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন মিসেস চেমন আরা।
১৯৯০ সালের এপ্রিল মাসে তৎকালীন শিক্ষা সচিব জনাব হেদায়েত আহমেদ কলেজের বার্ষিক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন। তিনি কলেজের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষের জন্য ৪০টি বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা করেন। এছাড়া কলেজের উন্নয়নের জন্য ২৫,০০,০০০/- (পঁচিশ লক্ষ) টাকা অনুদান ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে সেই টাকায় ছাত্রীনিবাসের তৃতীয় তলায় ৮টি কক্ষ ও কলেজের তিনদিকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়।
১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তদানীন্তন যোগাযোগ মন্ত্রী কর্ণেল (অব:) অলি আহমদ বীর বিক্রম কলেজের ছাত্রী সংসদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন। তিনি কলেজের উন্নয়নের জন্য ২৫,০০,০০০/- (পঁচিশ লক্ষ) টাকা অনুদান ঘোষণা করেন। ঘোষিত ২৫,০০,০০০/- (পঁচিশ লক্ষ) টাকা অনুদানে ঘূর্ণি বিধ্বস্ত কলেজের ও ছাত্রীনিবাসের সীমানা প্রাচীর পুণ:নির্মাণও ছাত্রীবিাসের তৃতীয় তলার অসম্পূর্ণ চারটি কক্ষ, ¯œানাগার ও টয়লেট নির্মাণ করা হয়। তিনি ছাত্রীনিবাসের জন্য তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল হতে একটি রঙিন টেলিভিশন প্রদান করেন, তাছাড়া ছাত্রীদের শিক্ষা সফরের জন্য দশ হাজার টাকা প্রদান করেন। তাঁর ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় খেলার মাঠের উন্নয়ন করা হয়।
১৯৯২ সালের ১৭ই ডিসেম্বর ছাত্রীনিবাসের নবর্নিমিত পূর্ব ব্লকের শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী কর্ণেল (অব:) অলি আহমদ বীর বিক্রম। তাঁর প্রচেষ্টায় কলেকে নির্বাচিত সরকারি কলেজ বিজ্ঞান উন্নয়ন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং ৪৬,০০,০০০/- (ছেচল্লিশ লক্ষ) টাকা অনুদান দেওয়া হয়। এর আওতায় তিনি ১৯৯৪ সালের ১২ই জুন ব্যয়বহুল চার তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট বিজ্ঞান ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন এবং ১৯৯৫ সালের ১৩ই জুন এই ভবনটির শুভ উদ্বোধন করেন, যার দোতলা পর্যন্ত ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি কলেজ অডিটোরিয়ামের সংস্কারের জন্য ফ্যাসিলিটিজ বিভাগকে নির্দেশ দেন। যার ফলশ্রুতিতে ৫০,০০,০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা ব্যয়ে অডিটোরিয়ামের সংস্কার সাধন করা হয়। ছাত্রীদের শিক্ষা সফরের জন্য ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা এবং কলেজের বি.এস.সি.সি ক্যাডেটদের শিক্ষা সফরের জন্য ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা অনুদান দেন। তাঁর প্রচেষ্টায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য ৫২ আসন বিশিষ্ট একটি ইসুজু বাস উপহার প্রদান করেন।
১৯৯৪-৯৫ শিক্ষাবর্ষে কলেজের মূল ভবনের দ্বিতীয় তলার উপরে পশ্চিম অংশে রাজস্ব খাত হতে ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা ব্যয়ে চারটি কক্ষ নির্মাণ করা হয়। উক্ত কক্ষসমূহে অর্থনীতি বিভাগ চালু হয়। পরবর্তীতে ২৮ শে আগষ্ট ১৯৯৬ইং ইষ্ট ওয়েষ্ট ইউনির্ভাসিটির ভাইস-চ্যান্সেলর ড. উরাসউদ্দিন আহমদ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
পরবর্তীতে সাবেক মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রী জনাব আবদুল্লাহ আল নোমান কলেজ ছাত্রী সংসদের অভিষেক অনুষ্ঠান ও রাত্রে ছাত্রীনিবাসের বার্ষিক ভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন। তিনি ছাত্রীদের শিক্ষা সফরের জন্য ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা ও অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রীদের জন্য ৭,০০০/- (সাত হাজার) টাকা প্রদান করেন।
 
হোস্টেলে অধ্যক্ষ ছাড়াও কয়েকজন অধ্যাপিকা থাকতেন। পরবর্তীতে ১৯৬৪ সাল থেকে বর্তমান প্রশাসনিক দোতলা ভবনটি নির্মিত হলে ক্লাশ সেখানে চলে আসে এবং হোস্টেল বিল্ডিংটি সম্পূর্ণভাবে মেয়েদের হোস্টেল হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী মরহুম জনাব বাদশা মিঞা চৌধুরীকে কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজের সার্বিক নিমার্ণ কাজ তদারকীতে নিয়োজিত থাকতে দেখা যেত এবং তাঁকে গর্ভনর জাকির হোসেন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সহযোগিতা করতেন।
কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ শ্রী যোগেশ চন্দ্র সিংহের পরে দ্বিতীয় অধ্যক্ষ হিসেবে মিস ফেরদৌস আরা সাবেত। ১৯৬০ সাল হতে ১৯৬৮ সালে কলেজ জাতীয়করণ করার সময় পর্যন্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দাুিয়ত্ব পালন করেন। কলেজ জাতীয়করণের পরেও তিনি তিনবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
কলেজ জাতীয়করণের পরবর্তী উন্নয়নের সংক্ষিপ্ত বিবরণ : ১৯৬৮ সনের মে মাসে তদানীন্তন সরকার এ কলেজকে জাতীয়করণ করে এর মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। বিভিন্ন সময়ে অনেক কৃতি ও গুণী ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় পর্যায়ক্রমে সামগ্রিক অগ্রগতি সাধনের ফলে বর্তমানে চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ বিশ^বিদ্যালয় কলেজে পরিণত হতে যাচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয়করণের পর কলেজের সামগ্রিক উন্নয়নের সংক্ষিপ্ত ধারাবাহিক বিবরণ নি¤েœ প্রদত্ত হল :
১৯৭৫-১৯৭৬ সালের দিকে বেসরকারি আমলে নির্মিত মূল ভবনের উত্তর-পশ্চিম পাশের্^ একটি দোতলা ক্লাশ বিল্ডিং নির্মিত হয়। এই সময়ে অধ্যক্ষ ছিলেন মিসেস নূর জাহান বেগম।
১৯৮৫ সালের প্রথম দিকে তদানীন্তন ফাস্টলেডী বেগম রওশন এরশাদ এই কলেজ পরিদর্শনে এসে কলেজের উন্নয়নের জন্য ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা অনুদান ঘোষণা করেন এবং ১৯৮৬ সালের ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের তত্ত্বাবধানে উক্ত টাকায় ছাত্রীনিবাসের তৃতীয় তলায় টয়লেট ¯œানাগারসহ তিনটি কক্ষ নির্মিত হয়। ১৯৮৬ সালের প্রথম দিকে তৎকালীন শিক্ষা উপমন্ত্রী জনাব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু কলেজ পরিদর্শনে এসে কলেজ অডিটোরিয়ামের জন্য ২৩টি বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা করেন যাহা ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। এই সময়ে কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন মিসেস চেমন আরা।
১৯৯০ সালের এপ্রিল মাসে তৎকালীন শিক্ষা সচিব জনাব হেদায়েত আহমেদ কলেজের বার্ষিক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন। তিনি কলেজের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষের জন্য ৪০টি বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা করেন। এছাড়া কলেজের উন্নয়নের জন্য ২৫,০০,০০০/- (পঁচিশ লক্ষ) টাকা অনুদান ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে সেই টাকায় ছাত্রীনিবাসের তৃতীয় তলায় ৮টি কক্ষ ও কলেজের তিনদিকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়।
১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তদানীন্তন যোগাযোগ মন্ত্রী কর্ণেল (অব:) অলি আহমদ বীর বিক্রম কলেজের ছাত্রী সংসদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন। তিনি কলেজের উন্নয়নের জন্য ২৫,০০,০০০/- (পঁচিশ লক্ষ) টাকা অনুদান ঘোষণা করেন। ঘোষিত ২৫,০০,০০০/- (পঁচিশ লক্ষ) টাকা অনুদানে ঘূর্ণি বিধ্বস্ত কলেজের ও ছাত্রীনিবাসের সীমানা প্রাচীর পুণ:নির্মাণও ছাত্রীবিাসের তৃতীয় তলার অসম্পূর্ণ চারটি কক্ষ, ¯œানাগার ও টয়লেট নির্মাণ করা হয়। তিনি ছাত্রীনিবাসের জন্য তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল হতে একটি রঙিন টেলিভিশন প্রদান করেন, তাছাড়া ছাত্রীদের শিক্ষা সফরের জন্য দশ হাজার টাকা প্রদান করেন। তাঁর ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় খেলার মাঠের উন্নয়ন করা হয়।
১৯৯২ সালের ১৭ই ডিসেম্বর ছাত্রীনিবাসের নবর্নিমিত পূর্ব ব্লকের শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী কর্ণেল (অব:) অলি আহমদ বীর বিক্রম। তাঁর প্রচেষ্টায় কলেকে নির্বাচিত সরকারি কলেজ বিজ্ঞান উন্নয়ন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং ৪৬,০০,০০০/- (ছেচল্লিশ লক্ষ) টাকা অনুদান দেওয়া হয়। এর আওতায় তিনি ১৯৯৪ সালের ১২ই জুন ব্যয়বহুল চার তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট বিজ্ঞান ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন এবং ১৯৯৫ সালের ১৩ই জুন এই ভবনটির শুভ উদ্বোধন করেন, যার দোতলা পর্যন্ত ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি কলেজ অডিটোরিয়ামের সংস্কারের জন্য ফ্যাসিলিটিজ বিভাগকে নির্দেশ দেন। যার ফলশ্রুতিতে ৫০,০০,০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা ব্যয়ে অডিটোরিয়ামের সংস্কার সাধন করা হয়। ছাত্রীদের শিক্ষা সফরের জন্য ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা এবং কলেজের বি.এস.সি.সি ক্যাডেটদের শিক্ষা সফরের জন্য ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা অনুদান দেন। তাঁর প্রচেষ্টায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য ৫২ আসন বিশিষ্ট একটি ইসুজু বাস উপহার প্রদান করেন।

১৯৯৪-৯৫ শিক্ষাবর্ষে কলেজের মূল ভবনের দ্বিতীয় তলার উপরে পশ্চিম অংশে রাজস্ব খাত হতে ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা ব্যয়ে চারটি কক্ষ নির্মাণ করা হয়। উক্ত কক্ষসমূহে অর্থনীতি বিভাগ চালু হয়। পরবর্তীতে ২৮ শে আগষ্ট ১৯৯৬ইং ইষ্ট ওয়েষ্ট ইউনির্ভাসিটির ভাইস-চ্যান্সেলর ড. উরাসউদ্দিন আহমদ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
পরবর্তীতে সাবেক মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রী জনাব আবদুল্লাহ আল নোমান কলেজ ছাত্রী সংসদের অভিষেক অনুষ্ঠান ও রাত্রে ছাত্রীনিবাসের বার্ষিক ভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন। তিনি ছাত্রীদের শিক্ষা সফরের জন্য ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা ও অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রীদের জন্য ৭,০০০/- (সাত হাজার) টাকা প্রদান করেন।
Subscribe Weekly Newsletter

©2018 Chittagong Govt Womens College & Designed byTechno Craft Bangladesh Hosted by Clickctg.com

Follow us